বাগেরহাটের শরণখোলায় তেলের গুদামে অভিযানের কথা বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নামে চাঁদা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার (১৪ মে) রাতে এবং রোববার (১৫ মে) সকালে উপজেলার রায়েন্দা, আমড়াগাছিয়া ও তাফালবাড়ি বাজারের মুদি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
রায়েন্দা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. ছরোয়ার হোসেন জানান, রোববার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে একটি ফোন নম্বর থেকে ইউএনও মো. নুর ই আলম সিদ্দিকির পরিচয়ে ফোন দেওয়া হয় তাকে। এরপর ফোনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোজ্য তেলের গুদামে অভিযান চালানোর কথা বলে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদার টাকা ‘নগদ’ এবং ‘বিকাশ’ করতে বলা হয়। কিন্তু প্রতারক চক্রের কথায় তার সন্দেহ হলে ইউএনওর সরকারি নম্বরে ফোন দিয়ে কথা বলেন তিনি। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি বুঝতে পারেন ঘটনাটি প্রতারক চক্রের একটি ফাঁদ।
একইভাবে আমড়াগাছিয়া বাজারের মুদি দোকানি জামাল জোমাদ্দার, তাফালবাড়ি বাজারে মনিরুজ্জামান বাবুল সর্দার, মো. নান্না হাওলাদার, আ. জলিলসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে ওই প্রতারক চক্রটি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে সতর্ক হয়ে যান তারা।
ইউএনও মো. নুর ই আলম সিদ্দিকি বলেন, “ব্যবসায়ীরা আমার কাছে ফোন দিয়ে ঘটনাটি বলার পরে, আমি সবাইকে কোনো প্রকার টাকা না দেওয়ার জন্য বলি। এছাড়া শরণখোলা ইউএনওর ফেসবুক পেজে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেই।”