টিটিই শফিকুলকে ‘মানসিক রোগী’ দাবি ডিসিওর

পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৭, ২০২২, ০৯:৪১ পিএম

ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) শফিকুল ইসলামকে অনেকটা ‘মানসিক রোগী’ হিসেবে উল্লেখ করে রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তরে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন। শনিবার (৭ মে) দুপুরের দিকে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন।

এদিকে, রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়দানকারী বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়াসহ জরিমানা আদায় ও টিটিইকে সাময়িক বরখাস্তের  ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এর আগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শফিকুল ইসলামকে পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।

তিন সদস্যের কমিটিতে পাকশী বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলামকে প্রধান করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বরখাস্তকৃত শফিকুল ইসলামকে অনেকটা ‘মানসিক রোগী’ হিসেবে উল্লেখ করে রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ দপ্তরে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডিসিও নাসির উদ্দিন।

রেলওয়ের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর তিন ভাগনে বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাতে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকামুখী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়েন। টিকিট ছাড়াই এসি কামরায় বসেছিলেন তারা। টিকিট পরিদর্শক টিকিট চাইলে তারা সুলভ কামরার তিনটি টিকিট দিতে বলেন। একই সঙ্গে এসি কামরা খালি থাকায় সেখানে বসে ভ্রমণের আবদার করেন।

তখন টিটিই তাদের জরিমানা ও সুলভের ভাড়া বাবদ মোট ১ হাজার ৫০ টাকা নিয়ে এসি কামরা ছাড়তে বলেন। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে ওই তিন যাত্রীর কথা–কাটাকাটি হয়। এরপর তারা এসি কামরা ছেড়ে শোভন কামরাতেই ঢাকায় পৌঁছান। যাত্রীদের সঙ্গে ‘অসদাচরণ’ করেছেন এমন অভিযোগে মোবাইলে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শুক্রবার (৬ মে) থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়েছে বলে জানা গেছে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, “এটিওর নির্দেশে তিনি ওই যাত্রীদের টিকিট করে ভাড়া নিয়েছেন। এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি।”