ঈদের ছুটিতে শরণখোলার বলেশ্বর নদীর তীর পরিণত হয়েছে ট্যুরিস্ট স্পটে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে নদী পাড়ে নারী-পুরুষের ঢল নামে। অনেকেই বলেছেন বলেশ্বরের তীর এনে দিয়েছে কক্সবাজারের স্বাদ।
নদীর পাড়ে দেখা যায় মানুষের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। বলেশ্বর নদীর রাজৈর, রায়েন্দা, জিলবুনিয়া, রাজেশ্বর ও তাফালবাড়ী পয়েন্টে দিনে হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশুদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে ওঠে। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা বাতাসে সৃষ্টি হচ্ছে বড় বড় ঢেউ। যা দেখে কেউ কেউ বলেশ্বরের তীরকে মিনি কক্সবাজার বলে আখ্যায়িত করছেন এবং পেয়েছেন সমুদ্রসৈকতের স্বাদ।
ঢাকা থেকে বাড়িতে ঈদ করতে আসা গৃহবধূ হোসনেয়ারা বেগম, রোজি আক্তার, শামিম আহসান, রিয়াজ মাহমুদসহ অনেকে বলেন, “করোনার দুই বছরে কোথাও বেড়াতে যেতে পারিনি। এখানে এসে খুবই ভালো লাগেছে। বলেশ্বরের বড় বড় ঢেউ ও বাতাস দেখে মনে হচ্ছে আমরা কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছি।” তারা আরও বলেন, “পরিকল্পনা করে পদক্ষেপ নিলে সুন্দরবনের খুব কাছে বলেশ্বর নদীর শরণখোলা পয়েন্ট হতে পারে দেশের নতুন ট্যুরিস্ট স্পট।
রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, “বলেশ্বরের কয়েক কিলোমিটার তীর কংক্রিটের ব্লক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এতে নদীর তীর দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। ঈদ ছাড়াও প্রতিদিন শতাধিক মানুষ বলেশ্বরের তীরে ঘুরতে যান। পরিকল্পনা করে এগোলে এটা হতে পারে নতুন ট্যুরিস্ট স্পট।”
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, “বলেশ্বর নদীর শরণখোলা পয়েন্টকে আকর্ষণীয় ট্যুরিস্ট স্পট করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”