রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে পণ্যবাহী ট্রাকের ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৪ শতাধিকের বেশি ট্রাক। দীর্ঘ সময় পারাপারের অপেক্ষায় থেকে চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে ট্রাক চালকদের। প্রতিটি ট্রাক চালককে ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১২-২৪ ঘণ্টা। অন্যদিকে যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্যর ট্রাকের ১ কিলোমিটারের সিরিয়াল দেখা যায়।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সিরিয়াল রয়েছে। এতে ৪ শতাধিকের বেশি ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এই সব ট্রাক চালকরা শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ও রাত থেকেই ঘাট এলাকায় আটকে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও ফেরি স্বল্পতার কারনে ট্রাকের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। যাত্রীবাহবাস ও পচনশীল ট্রালগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে।
ফরিদপুর থেকে ঢাকা মিরপুর-১ গামী ট্রাক চালক স্বাধীন বিশ্বাস বলেন, “রাত ৮টায় ঘাটে আসছি। মিরপুর -১ যাবো। এখন বাজে সকাল ১০টার বেশি। এখনো ঘাট থেকে ১ কিলোমিটার দূরে। এতো সময় জ্যামে বসে থেকে এখন আর ভালো লাগছে না। এইভাবে গাড়ি চালাতেও কষ্ট হয়।”
আব্দুল হামিদ নামে এক বাস চালক বলেন, “আজকে বাসের তেমন সিরিয়াল নেই। ১ ঘণ্টার মধ্যেই ফেরি পাবো বলে মনে হচ্ছে। তবে ঘাটের যে পরিস্থিতি এখনই ঈদে প্রচুর যানজট হবে।”
সাতক্ষীরা থেকে ঘাট এলাকায় এসে অপেক্ষামান ট্রাক চালক ইমরান ঢালী বলেন, “বিকেল থেকে সিরিয়ালে আটকে আছি। ঘাট এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ছিলাম। রাতে বৃষ্টির মধ্যে গাড়িতেই শুয়ে কাটাইছি। ভোগান্তির শেষ নেই। ঠিক মতো খাইতে পারি না, বিশ্রাম পাই না। তারপর রাস্তাঘাটের বিভিন্ন রকম ভোগান্তি।”
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা বন্দরের উপ- পরিচলাক খালেক নেওয়াজ বলেন, “এই নৌ রুটে ১৯ টি ফেরি চলাচল করে। দুটি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়ায় পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানায় মেরামতে রয়েছে। এখন এই নৌরুটে ছোট বড় ১৭ টি ফেরি চলাচল করে।”
আসন্ন ঈদের চাপ নিয়ন্ত্রণে আরো দুটি অতিরিক্ত ফেরি আনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপ পরিচালক বলেন, “এখনো ফেরি দুটি আসেনি। তবে ঈদের আগেই এসে যাবে।”