নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির ইফতার মাহফিলে মওদুদ ও ফখরুলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও ককটেল বিস্ফোরণ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সামনে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য হাসনা জসিম উদদীন মওদুদের অনুসারীদের সঙ্গে উপজেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে তিনদিন আগে উপজেলা বিএনপি বিবদমান দুটি গ্রুপ একই স্থানে ইফতার মাহফিল করার ঘোষণা দেয়। এতে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠে। পরে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে এক সঙ্গে দুই গ্রুপের নেতারা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। ইফতার মাহফিলে উপজেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলাম স্টেজে উঠার সময়ে তার অনুসারীরা তার পক্ষে স্লোগান দেয়। এসময় হাসনা মওদুদের অনুসারীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কেউ হতাহত হয়নি, তবে ককটেল বিস্ফোরণ, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে হাসনা মওদুদের অনুসারীরা ইফতার মাহফিল থেকে চলে যায়। ফখরুলের অনুসারীদের অংশগ্রহণে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হয়।
বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন ফাহাদ বলেন, “সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে কিছু বহিরাগত লোকজন এখানে হট্টগোল করতে চেয়েছিল। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।”
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রিপন জানান, অনেক বড় অনুষ্ঠান হয়েছে। তবে দুই গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ তিনি নাকচ করে দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দেয়নি। খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।