শেখ রাসেল শিশুপার্ক হবে মানসিক বিকাশের তীর্থস্থান 

জিকির উল্লাহ জিকু, কক্সবাজার প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১, ০৮:৫৫ এএম

শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কিন্তু এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক বিকাশের সুযোগ ছিল এত দিন মহেশখালী উপজেলায়।

দীর্ঘদিনের চাওয়া আর অভাব ঘুচিয়ে মহেশখালীতে বিনোদনের দ্বার খুলে দিল শেখ রাসেল শিশুপার্ক। এটি কক্সবাজার জেলার প্রথম আনুষ্ঠানিক শিশুপার্ক।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসের পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে মহেশখালীর ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের লম্বাঘোনা বাজারসংলগ্ন এলাকায় দুই একর জমি নিয়ে শিশুপার্কটি গড়ে তোলা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে।

গত ২২ জুলাই এই শেখ রাসেল শিশুপার্কটি উদ্বোধন করেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। সেই থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত এই শিশুপার্ক।

পাঁচ বছরের শিশুকে নিয়ে বেড়াতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, মহেশখালীতে বাইরে পর্যাপ্ত বিনোদনের সুযোগ না থাকায় মানুষ ঘরবন্দী হয়ে থাকে। অন্যদিকে ব্যায়ামের অভাবে মুটিয়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিশুরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় শৈশব থেকেই উন্মুক্ত স্থানে খেলাধুলার সুযোগ থাকা প্রয়োজন। শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সুবিধা প্রদান, উপজেলাবাসীর বিনোদনের জন্য পর্যাপ্ত পার্ক, খেলার মাঠ গড়ে তোলা এবং পুরোনোগুলোর সংস্কার অত্যাবশ্যকীয়। একই সঙ্গে ইউনিয়ন ও উপজেলাবাসীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা চিন্তা করে হেঁটে চলাচল ও শরীরচর্চার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পাহাড়ের পাদদেশে স্থাপিত নান্দনিক এই শিশুপার্কে শিশুদের বিনোদনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, বাঘ, হরিণ, ঘোড়া, হাতি, জিরাফ আরও নানা রকম রাইড ও বিনোদনের অবকাঠামো।

ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিহাদ বিন আলী বলেন, এটি মহেশখালীতে এবং জেলাতে প্রথম একটি শিশুপার্ক। এই শিশুপার্কটি বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ রাসেলের নামে হওয়ায় ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে আশা তার। এই শিশুপার্ক স্থাপনের পর থেকে অনেক দূর থেকেই লোকজন ছেলেমেয়ে নিয়ে বিনোদনের জন্য আসছে। যদিও বা লকডাউনের জন্য এখন আপাতত বন্ধ। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই শেখ রাসেল শিশুপার্ক একটি নির্মল আনন্দ এবং বিশুদ্ধ বিনোদনের জায়গা হিসেবে গড়ে উঠবে।

মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা বলেন, এটি শুধু শিশুপার্ক হয়ে শিশুদের বিনোদনের অভাব মেটাবে না বরং এটি বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার বিস্তারও ঘটাবে, ঘটাবে শিশুদের মাঝে মানবিক বিকাশ। 

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগ এই দ্বীপ মহেশখালীতে অপর্যাপ্ত বিশেষ করে শিশুদের জন্য। মহেশখালীতে যোগদানের পর থেকেই এ বিষয়ে কিছু করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থেকেই ছোট মহেশখালী দখলীয় জায়গা অবমুক্ত করে শুরু করা হলো এই শেখ রাসেল শিশুপার্ক। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুর্বলতার কারণে দিন দিন নগরে পার্ক, মাঠ তথা শারীরিক ও মানসিক বিকাশের স্থান হ্রাস পাচ্ছে পার্ক, মাঠ তথা শারীরিক ও মানসিক বিকাশের স্থান। তাই এটা হবে মহেশখালী শিশুদের জন্য মানসিক বিকাশের তীর্থস্থান।