২ সন্তান রেখে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২২, ০৮:৫৪ পিএম

ভৈরবে দুই সন্তান রেখে প্রবাসী স্বামীর টাকা-গহনা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন আকলিমা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূ। প্রেমিকের নাম আব্দুল আল খালিদ (৩০)। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাড়ইপাড়া গ্রামের আব্দুর রেহমানের ছেলে।

আকলিমার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে এবং প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রয়েছে। স্বামী হোসেন মিয়া (৩৫) বর্তমানে লিবিয়া প্রবাসী। এর আগে ১২ বছর সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন। বাবা প্রবাসে, মা পালিয়ে গেছেন-এমতাবস্থায় অবুঝ দুটি শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন দাদি হালিমা বেগম।

রোববার সকালে আকলিমা বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরে জানা যায় প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন। এই অভিযোগে সোমবার রাতে প্রবাসী হোসেন মিয়ার মা বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার টান কৃষ্ণনগর গ্রামে ছাদেক মিয়ার ছেলে হোসেন মিয়া একই উপজেলার গোছামারা গ্রামের সালাম মিয়ার মেয়ে আকলিমা বেগমকে ১২ বছর আগে বিয়ে করেন। তাদের তাসনিম হোসেন (১১) নামের একটি মেয়ে ও তাজিম হোসেন (৭) নামের ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর বিশ্বাস করে স্ত্রীর একাউন্টে লাখ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন হোসেন। কয়েক বছর হলো তিনি ছেলেমেয়েদের ভালো লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে স্ত্রী-সন্তানদের ভৈরব শহরের ভৈরবপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় রাখা শুরু করেন।

এরই মধ্যে এক নিকটআত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয় হওয়া আব্দুল আল খালিদের সঙ্গে তার প্রেম হয়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রেমিকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনা জেনে স্বামী তাকে বার বার সতর্ক করলেও থেমে থাকেনি তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ও মেলামেশা।

এরই সূত্র ধরে রোববার প্রেমিক খালিদের হাত ধরে বাসা থেকে বেড়ানোর কথা বলে পালিয়ে যান আকলিমা। বাসা থেকে যাওয়ার সময় আকলিমা ২০ লাখ টাকা এবং ১২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

আকলিমার শাশুড়ি ও মামলার বাদী হালিমা বেগম বলেন, “সন্তানদের রেখে আকলিমা পালিয়েছে। আমি এখন অবুঝ শিশু দুটিকে নিয়ে বিপদে আছি। তারা তাদের মাকে ফিরে পেতে কান্না করছে।”

আকলিমাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খালিদ জানান, তিনি এই প্রসঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক নন।

ভৈরব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ জানান, অভিযোগটি তিনি হাতে পেয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। ঘটনাটির সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।