দেশের সর্ববৃহৎ আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে খ্যাত উত্তরের জেলা রংপুর। এ বছর দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও যাচ্ছে এ জেলায় উৎপাদিত আলু। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে রংপুরের আলু ।
জেলার সদর উপজেলা, মিঠাপুকুর, পীরগাছা ও গংগাচড়া উপজেলা আলু চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। গত দুবছর লোকসান গুনলেও এবার বাজারে দাম ভালো পেয়ে খুশি আলুচাষিরা।
বাণিজ্যিকভাবে বিদেশে আলু রপ্তানিতে আশার আলো দেখছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারেও দাম বেশ ভালো। জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১২ থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি করছেন কৃষক, যা গত বছর সাত থেকে আট টাকা ছিল।
কথা হয় রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের আলু চাষি আসাদ, আনোয়ার ও কাজলের সঙ্গে। তারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার ভালো ফলন হয়েছে। একরপ্রতি প্রায় ৩০০ মণ আলু উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছর আলু বিক্রি করছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মাসোয়ারা অ্যাগ্রোর কাছে। তবে নানা অজুহাতে রপ্তানিকারকেরা আলুর দাম কম দিচ্ছেন।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আকমল হোসেন বলেন, “চলতি মৌসুমে রংপুর জেলায় রেকর্ড ৫২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে, যা গতবারের চাষাবাদের তুলনায় বেশি। আমরা উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ এবং কৃষকদের প্রশিক্ষিত করে এবার বিদেশে আলু রপ্তানি শুরু করতে সক্ষম হয়েছি। এখন যেভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে আলু কেনার চাহিদা বাড়ছে, তাতে করে এবার রংপুর থেকে আলু রপ্তানির পরিমাণ ৫০ হাজার টনের কাছাকাছি যাবে। জেলায় এবার আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন।”