নোয়াখালীতে গ্রাহকের জমা টাকা আত্মসাৎ করায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে ২৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার নাম নূর মোহাম্মদ বাশার। সে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার চরলরেঞ্চ গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে। তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শাখার এসবিআইএস শাখার কর্মকর্তা ছিলেন।
সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে নোয়াখালী সিনিয়র জেলা ও দায়রা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ দুদকের একটি পিটিশন মামলায় এই দণ্ডাদেশ দেন।
দুদক জানায়, লক্ষ্মীপুর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের রায়পুর শাখার সাবেক এস বি আই এস সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ বাশার গ্রাহকদের জমা করা ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। একপর্যায়ে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা করেন।
পরবর্তীতে মামলটি তদন্ত করেন দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালীর সাবেক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন দুদকের পিপি আবুল কাশেম।
দুদক আরও জানায়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে আজ (সোমবার) আদালত দণ্ডবিধি ৪০৬ ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, দণ্ডবিধি ৪২০ ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, দণ্ডবিধি ৪৬৭ ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, দণ্ডবিধি ৪৭১ ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। সবমিলিয়ে আসামির ২৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে পিপি আবুল কাশেম বলেন, “আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫ (২) ধারায় তাকে ২৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”