পঞ্চগড়ে এক বিধবা নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় আব্দুল জলিল (৪৫) নামের এক পুলিশের উপ-পরিদর্শককে (এসআই) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে আব্দুল জলিল জামিন আবেদন করলে ট্রাইবুন্যালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আব্দুল জলিল গাইবান্ধা সদর উপজেলার উত্তর ফুলিয়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি পঞ্চগড় সদর থানায় কর্মরত ছিলেন।
গত ২৩ জানুয়ারি ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করে আদালত। পরে উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পান আব্দুল জলিল। উচ্চ আদালতের অস্থায়ী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোববার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন আব্দুল জলিল।
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন জানান, ভুক্তভোগী ওই নারী তার মৃত স্বামীর ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেড়ে ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আব্দুল জলিল সেটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সেই সুবাদে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ ছিল তার। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবও দেন। এক পর্যায়ে একই বছরের গত ৬ অক্টোবর রাতে বাদীর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন পুলিশ সদস্য জলিল। সেখানে ধরাও পরেন তিনি। পরে আব্দুল জলিল ওই নারীকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এ সময় তার পরিচিত দুজনকে ডেকে এনে মিথ্যা বিয়ের নাটকও সাজান।
আইনজীবী মেহেদী হাসান বলেন, “ন্যায়বিচার পেতে ভুক্তভোগী নারী আদালতে এসেছেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে অভিযুক্ত এসআই আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। আজকে (রোববার) জামিন নামঞ্জুর করে এসআইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা আদালতের প্রতি সন্তুষ্ট।”
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, এসআই আব্দুল জলিল বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। তবে তার মামলার বিষয়ে অবগত নন তিনি।