পরকিয়ার কারণেই হত্যা করা হয় শাকিলকে

জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২, ০৪:২৫ পিএম

শাকিলকে (২৫) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার স্ত্রী আলিজা ও প্রেমিক। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে একটি মহল পায়তারা করছে বলেও জানিয়েছেন তারা। ভালোবাসা দিবসে স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘুরতে দেখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শাকিল নামে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনাটি মিথ্যা দাবি করেছেন পরিবার।

ঘটনাটি জামালপুর পৌর শহরের গেইটপাড়স্থ ফিসারীপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় শাকিল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রেলগেইট এলাকায় ফিসারীপাড়া এলাকাবাসীর ব্যানারে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত শাকিল মিয়ার বাবা ফকির হোসেন, মাতা সুলতানা বেগম, স্থানীয়দের মধ্যে বাবুল মিয়া, রবিউল আওয়াল, সিফাত মিয়া প্রমুখ।

শাকিল মিয়া একটি অটো সার্ভিসিং শো-রুমে কাজ করতেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে পাঁয়তারা করছে বিশেষ একটি মহল। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

নিহত শাকিলের বাবা ফকির মিয়া ও মা সুলতানা বেগম জানান, শাকিলের সঙ্গে প্রায় ২ বছর আগে ফিসারীপাড়া এলাকার হযরত আলী ওরফে কালুর মেয়ে আলিজার বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। পরে আলিজা বাপের বাড়ি চলে যায়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আলিজা ঘুরতে বের হলে শাকিল তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে আলিজার সঙ্গে অন্য পুরুষকে ঘুরতে দেখে শাকিল। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই পুরুষের সঙ্গে আলিজা পরকীয়ার জড়িত। এ নিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর ভাড়া নেওয়া বাড়িতে ধরনার সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়।

এছাড়া শাকিলের পরিবার প্রশাসনের কাছে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শাকিলের ভাড়া বাড়ির ঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় শাকিলের মা সুলতানা বেগম জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।