এই বাংলা স্বাধীন করতে তিতুমীর ও সুভাষ চন্দ্র বোস রক্ত দিয়েছেন কিন্তু তারা পারেননি, বঙ্গবন্ধু অবশেষে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ হাসান।
মঙ্গলবার বিকেলে সোনারগাঁ যাদুঘরে মাসব্যাপী লোককারু শিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ হাসান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মুক্তিযোদ্ধদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এই জনপদ লড়াই করার জন্য সৃষ্টি হয়েছিল, এই জনপদ হার মানেনি। মুঘলদের সঙ্গে তারা লড়াই করেছে। বারো ভূইয়ার এক ভূইয়া এই সোনারগাঁয়ে ছিলেন। এই সোনারগাঁয়ে মুক্তিযোদ্ধারা যেমন জন্মেছেন, তেমনি সোনার মানুষও জন্মেছেন। জাতির পিতা এই সোনারগাঁকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন বলেই শিল্পাচার্য জয়নাল আবেদীনের হাত ধরে এই চারু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ১৫ আগস্টের সকল শহীদসহ ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।”
কেএম খালিদ হাসান আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু লোকশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাই আজ সোনারগাঁয়ের জনগণ বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এই বাংলা আগে বাঙালি শাসন করেনি। পিতা তোমার নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ বাঙালিরা শাসন করেছে। এই বাংলা স্বাধীন করতে তিতুমীর রক্ত দিয়েছেন, সুভাষ চন্দ্র বোস রক্ত দিয়েছেন। তারা পারেননি বঙ্গবন্ধু অবশেষে পেরেছেন। আমি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। সেদিন ৭ মার্চ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা বঙ্গবন্ধুকে উৎসাহ দিয়েছিল। তার প্রতিও আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রাস্তা এই সোনারগাঁয়ে তৈরি হয়েছিল, গ্রান্ডট্র্যাংঙ্ক রোড। লোকশিল্প হাজার হাজার বছর ধরে এখানে চর্চা হচ্ছে। পৃথিবী যেভাবে আমাদের চেনে সেটাই আমাদের কালচার। এ এলাকার নাম বাংলাদেশ কেউ চেনে না, এমন মানুষ নেই। এই এলাকার মানুষ মসলিন তৈরি করেছিল। সারা পৃথিবী সোনারগাঁকে চেনে। এখানকার জনগণের অনেক দাবি আমাদের প্রতিমন্ত্রীর কাছে। সোনারগাঁকে লালন করলে পুরো পৃথিবীতে নাম উজ্জ্বল হয়।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল আলম, জেলা প্রশাসক মঞ্জরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি প্রমুখ।