টেন্ডার নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৫

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২, ০৮:৪৭ পিএম

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) হাটের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ও উপজেলার আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ১৩টি স্থায়ী হাটের জমা দেওয়ার দিন ছিল বুধবার। মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাটটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পরিচালনা করে আসছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সমর্থক রোমান বাদশা। আজ বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ রনির সমর্থক সজল মিয়া তার লোকজন ওই হাটের দরপত্র জমা দেন। এতে বাধা দেন নান্নুরপন্থিরা। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, সজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, পারভেজ মিয়া, রানা, মিরাজ হোসেন, আব্দুল আলী ও বাবুসহ ১২ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে যুবলীগ নেতা সজিব ও তার ক্যাডার বাহিনী। এদিকে সংঘর্ষে নান্নুর সমর্থক ফারুক প্রধান, রবিউল প্রধানসহ তিনজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপজেলা পরিষদ থেকে বের করে দেন এবং উপজেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকাবাসী আরও জানিয়েছেন, উভয় পক্ষের আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের মধ্যে রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, জাবেদ, সজলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোহাগ রনি জানিয়েছেন, ঢামেকের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন জাবেদ ও সজলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম মিয়া বলেন, “যুবলীগের সমর্থকরা দীর্ঘ দিন ধরে হাটটি পরিচালনা করে আসছিল। আমরা এ বছর টেন্ডার জমা দিতে গেলে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।” 

মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব মিয়া বলেন, “ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমাদের কথাকাটাকাটি হয়েছে। তারা যুবলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে।”  

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।