চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার স্থানীয় এনজিও মাইডসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) বেলাল উদ্দিন (৪৫) কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার পঞ্চানন্দপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন দ্রুত ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সকাল ১০ টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ভোলাহাট থানার পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ভোলাহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রেজওয়ানুল বলেন, “সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পেলে ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানায়, নিহত বেলাল উদ্দিন স্থানীয় একটি এনজিও মাইডসের এমডি ছিলেন। তার কর্মচারী মো. এসরাইল, হেলাল, হাসান, কারিম, মাইনুল, আব্দুর রহমান ডাকু, মিজানসহ অন্যান্যরা এনজিওর কোটি কোটি টাকা লুট করে নেয়। এ ব্যাপারে দীর্ঘদিনের অর্থ জটিলতায় স্থানীয়ভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তদন্তে বসলে কর্মীদের টাকা লুটের বিষয়টি প্রমাণ পান। এ সময় তদন্ত কমিটির সামনে টাকা লুটের সঙ্গে জড়িতরা তাকে মারপিটের চেষ্টা চালায়। এ হতাশায় কীটনাশক পান করে বেলাল উদ্দিন আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে তদন্ত কমিটির দায়িত্বশীল বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে নাম না প্রকাশ করার শর্তে তারা জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তদন্ত চলাকালে বেলাল উদ্দিনকে টাকা লুটের সঙ্গে জড়িতরা মারমুখি হয়। এছাড়া টাকা লুট করেছেন কর্মীরা এটা প্রমাণ মিলেছে।
এ ঘটনায় বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী মোসা. সেকিনা বাদী হয়ে থানায় আইনগত সহায়তা চেয়েছিলেন।
এ বিষয়ে ভোলাহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব ইমরান মুঠোফোনে জানান, মূলত এলাকার অনেকের মাইডস এনজিওতে টাকা ছিলো। অফিস স্টাফদের অসহযোগিতার কারণে টাকার লেনদেন হালনাগাদ ছিলো না। এদিকে টাকার কারণে মানসিক বিষন্নতায় ভূগছিলেন তিনি। আর সে কারণেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।