পটুয়াখালী পৌর এলাকার সবুজবাগ ৯ নম্বর লেনের বাসিন্দা আব্দুল হকের (৬২) বিরুদ্ধে জমি বিক্রি করার পরে হাঁটার রাস্তার জন্য চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ২০টি পরিবার। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সাজেদুল ইসলাম বাহাদুর।
সাজেদুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, “আমরা পৌর এলাকার সবুজবাগ ৯ নম্বর লেনের বাসিন্দা। আমরা ২০টি পরিবার একত্র হয়ে আব্দুল হকের কাছে থেকে পাঁচটি প্লটে ২১ শতাংশ জমি ক্রয় করি। ওই প্লটের সম্মুখভাগে দলিলের শর্তানুযায়ী ৫ ফুট রাস্তা থাকার কথা। পরবর্তীতে চলাচলের সুবিধার্থে এবং পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়রের মৌখিক অনুরোধে ও সকলের সম্মতিতে ১০ ফুট জায়গা রেখে প্রত্যেক মালিক ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন করি। উক্ত রাস্তার নির্মাণ কাজ বর্তমানে পৌরসভার টেন্ডারের আওতাধীন আছে। কিন্তু আব্দুল হক, তার কন্যা তানিয়া বিনতে হক (৩০) ও তার জামাতা মো. সিজার (৪৫) মিলে উক্ত রাস্তায় চলাচলের জন্য দশ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ না করায় আব্দুল হক, তার মেয়ে ও জামাতা সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের পথে-ঘাটে অশ্লীল ভাষায় গালাগালসহ শারীরিকভাবে অপমান অপদস্ত করে এবং একটি গেট লাগিয়ে ২০টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।”
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা আরও জানান, ২৮ জানুয়ারি রুহুল আমীন ও হাবিবুর রহমান ভবন নির্মাণ শুরু করলে আব্দুল হক, তার জামাতা সিজার ও মেয়ে তানিয়াসহ ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে আব্দুল হকের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বলেন, “ওখানে কোনো রাস্তা নেই। আছে শুধু আমার ব্যক্তিগত চলার পথ।”
আপনি জায়গা বিক্রি করেছেন চলাচলের জন্য রাস্তা দেখিয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল হক বলেন, “দলিলে রাস্তার কথা কোথাও উল্লেখ নেই।”