‘বিধিনিষেধের মধ্যেও নির্বাচন হবে’

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২২, ০৯:৫১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ হলেও ভোট বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন বলেন, “নির্বাচনের কারণে করোনা সংক্রমণে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।”

টাঙ্গাইল-৭ আসনে উপনির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় সরকারের দেয়া প্রজ্ঞাপনে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আর তাতেই অনিশ্চয়তা দেখা দেয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে।

বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে সোমবার (১০ জানুয়ারি) চলে ব্যাপক আলোচনা।

এ বিষয়ে স্থানীয় নির্বাচন-সংশ্লিষ্টরা জানান, তারাও বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন। নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

এসব আলোচনার মধ্যেই বিষয়টি পরিষ্কার করলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন। বিধিনিষেধের মধ্যে কীভাবে ভোট হবে তারও ব্যাখ্যা দিয়ে কমিশনার বলেন, “করোনা প্রতিরোধে যে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে সেটি মেনেই ভোট হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাইনে দাঁড়ানোসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী রাখা হবে।”

২০২১ সালের জুন থেকে শুরু হওয়া ইউপি নির্বাচনের প্রতিটি ধাপে ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে অনেক প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণাও দিয়েছেন।

ভোট কারচুপি প্রসঙ্গে শাহাদাত হোসেন বলেন, “বুথে ঢুকে যাতে একজনের ভোট আরেকজন দিতে না পারে, এ বিষয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের শক্তভাবে নির্দেশ দিতে হবে। কোনো কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিতে হবে। এটি করা না হলে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একটু্‌ও পিছ পা হবে না। আর এ রকম অনেকগুলো কেন্দ্রে অনিয়ম হলে হলে পুরো নির্বাচন বন্ধ করতে হবে।”

টাঙ্গাইল-৭ আসনের উপনির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে জানিয়ে ইসির এই কমিশনার বলেন, “এখনও কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। প্রত্যেক প্রার্থীর যার যার মতো প্রচার চালাচ্ছেন। কারও কোনো অভিযোগ নেই। বর্তমানে যে পরিস্থিতি আছে তাতে আমি বলতে পারি, এ উপনির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে।”

নির্বাচনের আগে প্রার্থীর এজেন্টদের হয়রানি করা হয় উল্লেখ করে শাহাদাত হোসেন বলেন, “এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে যাতে নির্বাচনি আমেজ নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ভোটাররা যাতে অনুভব করতে পারেন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোট গ্রহণের পর যাতে ভোটাররা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুধু ভোটের দিন নয়, ভোটের পরেও যাতে কোনো সহিংসতা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।”

এছাড়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসক আতাউল গনির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, টাঙ্গাইল-৭ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাহিদুল নবী চৌধুরী, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এইচএম কামরুল হাসানসহ আরও অনেকে।

আগামী ১৬ জানুয়ারি টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।