দেশে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। সন্ধ্যার আগেই পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম দেখা গেছে ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে।
শনিবার রাতেও বিদ্যালয়টিতে গিয়ে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে। পরে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী জাতীয় পতাকাটি নামিয়ে ফেলেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন রাঢ়ি অবশ্য ভুল স্বীকার করলেও দোষ চাপিয়েছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ওপর।
স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক অধিকাংশ সময়ই থাকেন তার গ্ৰামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। তাই প্রায়ই এমন রাতভর জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে।
শুধু প্রধান শিক্ষকের অবহেলায় রাতেও জাতীয় পতাকা না নামানোয় ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবি, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার স্থানের ঠিক উল্টো পাশেই স্কুলের একটি কক্ষে বসবাস করার পাশাপাশি রাতযাপন করেন প্রধান শিক্ষক। তিনি প্রতিষ্ঠানটিতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এমন ভুল হতো না।
তাই জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে কর্তৃপক্ষকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবিও জানান তারা।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন রাঢ়ি বলেন, “আমি তখন স্কুল থেকে একটু বাইরে ছিলাম। পিয়নদের ভুলবশত পতাকা নামাতে খেয়াল ছিল না। এমন অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি।”