সরকারি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন জনবহুল স্থাপনা ধ্বংসের পরিকল্পনা ছিল নীলফামারী সদরের মাঝাপাড়া এলাকার জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার পাঁচ জঙ্গির। এছাড়াও রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি জেএমবির শীর্ষ নেতাদের হাজিরাকালে পথে বোমা ফুটিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে ছিনিয়ে নেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় র্যাব-১৩ এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) মিডিয়া ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত নীলফামারী সদরের নির্জন ওই এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবির রংপুরের সামরিক শাখার প্রাধানসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে জেএমবির নীলফামারী রংপুর অঞ্চলের জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আহিদুল ইসলাম আহিদ (পলাশ) ও তার অপর সহযোগী ওয়াহেদ আলী (আব্দুর রহমান), আবদুল্লাহ আল মামুন (ডা. সুজা), জাহিদুল ইসলাম জাহিদ এবং নুর আমিনকে (সবুজ) গ্রেপ্তার করা হয়। আটকৃতদের সকলের বাড়ি নীলফামারী জেলার বিভিন্নস্থানে।
এসময় বোমা তৈরির সরঞ্জাম, রাসায়নিক দ্রব্য, পিস্তল, ম্যাগাজিন পাঁচ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয় বলেন জানান তিনি।
সংক্ষিপ্ত সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে জেএমবি সদস্যরা জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিরা জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। সামরিক শাখার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা আইইডি তৈরি ও আইইডি তৈরি করার প্রশিক্ষণ অনুশীলন এবং নাশকতামূলক হামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গি আহিদুল ইসলাম নীলফামারীর একটি খেলনা প্রস্তুতকারক কোম্পানির কোয়ালিটি চেকার পদে চাকুরির আড়ালে জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে এসব প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন। সে দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। আহিদুল জেএমবির রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান। ২০১৫ সালে সে জেএমবিতে যোগদান করেন।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এদের সঙ্গে জড়িতদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।