বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে কক্সবাজার থেকে ৮২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন।
এদিকে জাওয়াদের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে পানি ফুলে কিছুটা উত্তাল থাকলেও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা তা উপেক্ষা করে সমুদ্রস্নান ও ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্যও বলা হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত সম্পর্কে ট্যুরিস্ট পুলিশ অবগত রয়েছে। মাইকিং করে পর্যটকদের সতর্কতাসহ পানি থেকে ওপরে উঠে আসতে বলা হচ্ছে।