ধর্ষণের পর নারীর মৃত্যু, ইউপি সদস্য পলাতক

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
সদরপুর থানা। ছবি : প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সদরপুরে ধর্ষণের পর শেফালী বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে তাহমিনা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত মোমরেজ খালাসী নামে সাবেক এক ইউপি সদস্য ও তার দুই সহযোগী পলাতক রয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদরপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হাসান।

এর আগে শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের ছলেমানা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শেফালী বেগম ছলেমানা গ্রামের বাসিন্দা শফি খালাসীর স্ত্রী।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মোমরেজ খালাসী ও তার দুই সহযোগী শনিবার রাতে শেফালীর বাড়িতে গিয়ে দোচালা টিনের ঘরে আড্ডা দেয়। কিছুক্ষণ পর মোমরেজ শেফালিকে ডাক দিয়ে নিজের সঙ্গে শেফালির বসতঘরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে শেফালী অসুস্থ হয়ে পড়লে মোমরেজ তাকে কোলে করে তার চৌচালা টিনের ঘরে রেখে পালিয়ে যান। গৃহবধূর স্বজনরা তাকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোববার (২০ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে তাহমিনা বাদী হয়ে সোমবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ জানায়, শেফালীসহ তার স্বামী শফি খালাসীর তিনজন স্ত্রী রয়েছে। তিনি ছিলেন সবার ছোট। মোমরেজ খালাসীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে মোমরেজ মাঝেমধ্যে শেফালীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এমনকি রাতেও অবস্থান করতেন। মোমরেজ খালাসী সম্পর্কে ওই গৃহবধূর দেবর এবং আগে থেকেই মোমরেজ খারাপ প্রকৃতির লোক ছিলেন।

নিহত শেফালীর নাতনি তাজবিন আক্তার (১৩) বলে, “নানীর অসুস্থতা দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত বিশ্ব জাকের মঞ্জিল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

[113946]

এ ব্যাপারে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হাসান জানান, ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় ওই গৃহবধূর মেয়ে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মোমরেজ আগে থেকেই খারাপ প্রকৃতির লোক ছিলেন এবং তারা সম্পর্কে দেবর-ভাবী। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।