বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এইচ এম মনিরুল ইসলাম ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেছেন। এ ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. বায়েজিদ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তিনি চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির হযরত মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার হাতে হাত রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামি আন্দোলনে বায়াত গ্রহণ করেন।
ঘটনাটি আমতলীতে ‘টক অব দ্যা টাউন’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই দলের ভেতরের বিশৃঙ্খলা এবং নেতাদের দায়িত্বহীনতার বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
ফেসবুকে মো. ফয়সাল বারী লিখেছেন, “জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা কোথায়? কোথায় দল বিক্রি করেছেন বা তাদের ব্যর্থতা কোথায় ছিল? এই সুবিধাভোগীরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।”
অন্যদিকে কে এম রিমন নামে একজন মন্তব্য করেন, “পিঠ বাঁচাতে দল পাল্টাচ্ছে।”
তবে অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেননি। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
[113853]
এ বিষয়ে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ বরগুনা জেলা সভাপতি মুফতী মিজানুর রহমান কাসেমী বলেন, “আমাদের দলে অপরাধী বা দাগী ব্যক্তিদের জায়গা নেই। কেউ যদি অন্য দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন, তবে তিনি তওবা করে এবং আমিরের কাছে বায়াত নিয়ে দলে আসতে পারেন। তবে এ ধরনের ব্যক্তিরা দলীয় কোনো পদ পদবিতে আসীন হবেন না।”