জামিনে মুক্ত হওয়ার পর সিরাজগঞ্জ ৩ (রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও সলঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজকে জেলখানার সামনে থেকে ধরে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করেছে একদল ছাত্র-জনতা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, মোটরসাইকেল নিয়ে একদল ছাত্র-জনতা জেলখানার সামনেই জামিনে মুক্ত সাবেক এমপি আব্দুল আজিজকে টেনেহিঁচড়ে মোটরসাইকেলে তুলছে। এ সময় ভিডিওর অডিওতে শোনা যায়, তাড়াশ রায়গঞ্জের এমপি আব্দুল আজিজ জামিনে মুক্ত হয়েছে। তাকে মোটরসাইকেলে তুলে বড়পুলে (ইলিয়ট ব্রিজ) নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে তাকে বেঁধে কথা বলবে ছাত্র-জনতা। পরে তাকে কান্দাপাড়া থেকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় এনে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে রেড জুলাই-এর আহ্বায়ক মুনতাসির হাসান মেহেদি বলেন, ‘আমরা জানতে পারি যে জামিনে এমপি আজিজ মুক্ত হচ্ছেন। এ কথা শুনে আমরা জেল সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান বিষয়টি সত্য। পরে আমরা সেখানে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর তিনি বের হন। আমরা আগে কি দেখেছি, জামায়াতসহ অন্য যেসব নেতারা জেলে থাকতেন জেল থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে জেলগেটেই পুলিশ তাদের নামে আরও ১০-১২টা মামলা দিয়ে দিতেন। কিন্ত আমরা নতুন বাংলাদেশে কি দেখছি, হাজারো শহীদ যারা রক্ত দিয়েছে যে নতুন বাংলাদেশের জন্য আমরা সেই নতুন বাংলাদেশ দেখছি না। আমরা যখন মোটরসাইকেলে তাকে নিয়ে আসি তখন তিনি আমাদের নানান অফার দিয়েছেন।’
এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ন কবির বলেন, ‘একদল ছাত্র-জনতা সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজকে থানায় দিয়ে গেছে। এখন আমরা তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
এর আগে, ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন। ডা. আব্দুল আজিজ ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।