ঈদের নামাজের সময় ইমামকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা, অতঃপর…

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম

বরগুনার তালতলীতে ঈদুল ফিতরের নামাজের সময় ইমামকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার অভিযোগে মো. মাসুম বিল্লাহ (১৯) নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন মুসল্লিরা। 

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শারিকখালি ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের শিকদার বাড়ি মসজিদের ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজের সময় ঘটনা ঘটে।

মাসুম উপজেলার কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নের আলীর বন্দর এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে। তিনি একই এলাকার একটি মসজিদে ইমামতি ছেড়ে বর্তমানে ঢাকায় কোম্পানির গাড়ি চালান। ভুক্তভোগী ইমাম ইমরান হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইমরান মাসুম দুজনই স্থানীয় কেওড়াবুনিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। তবে মাসুম ইমরানের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে পূর্বের শত্রুতা ছিল। যার জের ধরে আজ ঈদগাহ মাঠে ঘটনা ঘটে।

মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিকদার বাড়ি মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সময় মাসুম ছুরি নিয়ে ইমামের দিকে ছুটে যান। নামাজরত মুসল্লিরা বিষয়টি দেখে মাসুমকে আটক করেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছুরিসহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

মসজিদের সাবেক সেক্রেটারি মো. জাকির হোসেন বলেন, “নামাজের দ্বিতীয় রাকাতের সময় হামলাকারী আনুমানিক দুই ফুট বড় একটি ছুরি বের করে। সময় নামাজ ছেড়ে আমি তাকে ঝাপটে ধরি। পরে মুসল্লিরা তাকে ধরে আটকে পুলিশকে খবর দেয়। জানতে পেরেছি ইমামের সঙ্গে ওই যুবকের পূর্বশত্রুতা আছে।” 

ইমাম ইমরান হোসেন বলেন, “কেওড়াবুনিয়া মাদ্রাসায় পড়াকালীন মাসুম আমার মোবাইল চুরি করেছিল। ওই ঘটনায় তাকে অপমান করায় তখন থেকে আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। হয়তো সেই ক্ষোভ থেকে হত্যাচেষ্টা করেছে।” 

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাসুমকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে থানায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।”