ফাঁকা মহাসড়ক, হেসেখেলে গাঁয়ের পথে যাত্রীরা

গাজীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৫, ০২:২৮ পিএম

দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আজ সন্ধায় শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।তাই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ঢাকা ছড়াছেন লাখ লাখ মানুষ।তবে আগের তুলনায় এবার অনেকে হেসেখেলে স্বজনদের কাছে ফিলেছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।রাস্তায় কোথাও ছিল না যানজট, ছিল না যাত্রীদের চাপও। তাই এবার বেশ সাচ্ছন্দেই বাড়ি ফিরেছেন তারা। 

রোববার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক প্রায় যানবাহনশূন্য দেখা যায়। এরআগে শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে মহাসড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ থাকলেও উল্লেখ করার মতো যানজট ছিল না। চন্দ্রা ও গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি ছিল।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাজীপুরের সকল কলকারখানা শনিবার বিকেলের মধ্যে ছুটি হয়ে গেছে। তবে এবার কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি হওয়ায় মহাসড়কে একসঙ্গে চাপ কম পড়েছে। এছাড়াও অধিকাংশ কারখানা ১০ দিন ছুটি হওয়ায় শ্রমিকরা ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরেছেন।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যাওয়ায় শনিবার রাতে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়। এতে মধ্যরাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড, কলেজগেট, চেরাগআলী, বোর্ডবাজার, চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহনের ব্যপক চাপ দেখা যায়। অপরদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর বাজার থেকে চন্দ্রা হয়ে টাঙ্গাইলের গোড়াই পর্যন্ত ও নবীনগর-চন্দ্রা রোডের চক্রবর্তী পর্যন্ত যানবাহনে চাপ ছিল। দীর্ঘসময় চন্দ্রা এলাকায় যানজটের কবলে পড়েন যাত্রীরা। তবে সেহরির পর থেকে মহাসড়ক ফাঁকা হয়ে গেছে।

জানা যায়, শেষ মুহূর্তে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মুদি দোকানদার, রিকশাচালকরা বাড়ি ফিরছেন। মূলত গাজীপুরের অধিকাংশ ব্যবসা গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিকদের ঘিরে। শ্রমিকরা শরিবার রাতেই বাড়ি চলে যাওয়ায় সকাল হতে এসকল ব্যবসায়ী ও রিকশা চালকরা বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন।

নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে বেশ চাপ ছিল তবে মধ্যরাতের পর থেকেই স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সকাল থেকেই মহাসড়ক কার্যত ফাঁকা হয়ে গেছে। তারপরও পুলিশ সড়কে কাজ করে যাচ্ছে।