মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশু আছিয়ার নির্যাতনকারীদের বিচার দাবিতে মশাল মিছিল করছে ছাত্র-জনতা। মিছিল থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবিও করা হয়েছে।
[112214]
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার পর ‘ছাত্র-জনতার মশাল মিছিল’ শীর্ষক ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়। পরে মিছিলটি নীলক্ষেত মোড় ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে বিজয় একাত্তর হল ঘুরে আবার রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ মিনারের দিকে মিছিলটি এগিয়ে যায়।
[112212]
এসময় হাতে মশাল জ্বালিয়ে আন্দোলনকারীরা আছিয়া মরল কেনো? প্রশাসন জবাব দে, বাহ্ পুলিশ চমৎকার, ধর্ষকের পাহারাদার; জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো; জাহাঙ্গীরের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে; যে রাষ্ট্র ধর্ষক পোষে, সেই রাষ্ট্র ভেঙে দাও; যে হাত ধর্ষণ করে সেই হাত ভেঙে দাও; নিপীড়কের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; জাহাঙ্গীররের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; আবু সাইদের বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই; মুগ্ধের বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় আন্দোলনকারীরা ৩ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো—ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনসহ দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হামলার বিচার, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, অব্যাহত ধর্ষণ-নিপীড়ন ও জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের অন্যায্য বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরদিন শুক্রবার (৭ মার্চ) তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এরপর শুক্রবার (৭ মার্চ) রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার (৯ মার্চ) শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ দুপুর ১টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে।