স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা এসেছে, আবার থাকছে না ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনও।
ভারত যাতায়াতে লাগছে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা দূতাবাসের ছাড়পত্র। শুধু করোনা নেগেটিভ সনদ হলেই যাত্রীদের সুযোগ মিলছে ভারত গমন।
এতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। যাতায়াতকারী এসব যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশ রয়েছেন রোগী, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী। তবে এখনো বন্ধ রয়েছে স্থলপথে ট্যুরিস্ট ভিসায় যাতায়াত।
জানা যায়, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়াতে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিবছর ভ্রমণ, চিকিৎসা ও ব্যবসা আর শিক্ষা গ্রহণে প্রায় ১৮ লাখ যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতেন। এতে সরকার ভ্রমণ খাতে প্রায় একশ কোটি টাকা আয় হতো। গত বছর মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিভিন্ন শর্ত জারি করে। এসে যাত্রী যাতায়াত প্রায় শূন্যের কোঠায় দাঁড়ায়। ফলে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াত করতে না পেরে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন যাত্রীরা। তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলে আবারও পাসপোর্ট যাত্রী বাড়তে শুরু করেছে। আগে করোনার কারণে ভারত থেকে ফিরলেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের ছাড়পত্র লাগত। এতে ভোগান্তির যেমন শেষ ছিল না, তেমনি অর্থদণ্ড গুনতে হতো। এখন কেবল করোনা নেগেটিভ সনদ হলেই ভারতে যাওয়ার সুযোগ মিলছে যাত্রীদের।
ভারতফেরত যাত্রী ঢাকার আমেনা বেগম বলেন, “আগে ভোগান্তির শেষ ছিল না। এখন ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাই থাকতে হয় না ও ছাড়পত্র কিছুই লাগছে না। কেবল করোনা নেগেটিভ সনদ হলে ভারত যাওয়া যাচ্ছে।”
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাজু জানান, সংক্রমণ কমে আসায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলে যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। যারা ভারতে যাচ্ছেন বা ফিরছেন অধিকাংশই রোগী। বর্তমানে বিজনেস ও শিক্ষা ভিসায় যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। ভারতে যাওয়ার সময় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর থেকে পরীক্ষা করানো করোনা নেগেটিভ সনদ লাগছে। ভারত থেকেও একইভাবে আনতে হবে করোনা নেগেটিভ সনদ। ট্যুরিস্ট ভিসায় স্থলপথে যাত্রী যাতায়াত এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।