কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেলকে (৫২) কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় গুলিতে তার সহযোগী হরিপদও নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলের দিকে সোহেলের পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরো ছয় জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা হলেন— আওলাদ হোসেন রাজু (২৩), জুয়েল (৪০), রাসেল (২৮)। বাকি তিন জনের নাম জানা যায়নি।
নিহত মো. সোহেল (৫২) কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন তিনি। নিহতের বাড়ি নগরের সুজানগর এলাকায়। এর আগে ২০১২ ও ২০১৭ সালে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন তিনি। পরে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
সোহেল সুজানগর এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে। ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে বলে জানা গেছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরের পাথরিয়াপাড়া থ্রি স্টার এন্টারপ্রাইজের কাউন্সিলর কার্যালয়ে বসা ছিলেন মো. সোহেল। এ সময় কালো মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত কার্যালয়ে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পিস্তলের গুলি তার মাথায়, বুকে, পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে। এ ঘটনায় আরো কয়েক জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দ্রুত তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ অন্যরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, “কাউন্সিলর সোহেল মারা গেছেন বলে শুনেছি। হাসপাতাল থেকে খবর নেন। আমরা অন্যান্য বিষয় সামাল দিচ্ছি।”
এ বিষয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত বলেন, “কাউন্সিলর সোহেলের শরীরে অন্তত ১০টি গুলি করা হয়েছে। শনিবার তার সঙ্গে একটি সভা করে এসেছি। সোহেল তার এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।”