পলাশে রাঙা মহাসড়ক, সৌন্দর্যে মুগ্ধ যাত্রী ও পথচারীরা

কুমিল্লা প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
গাছে গাছে পলাশ ফুল। ছবি : প্রতিনিধি

ফাগুন এলেই জ্বলে ওঠে, পলাশ রাঙা শিখা/ দিগন্তজুড়ে লাল আঁচলে, মাতাল বসন্তিকা। কবির কবিতায় ফুটে ওঠা সেই হৃদয়স্পর্শী মুগ্ধতা ছড়িয়ে এখন পলাশ ফুটেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকেও। সারি সারি গাছে আগুনরাঙা পলাশ ফুল এই মহাসড়কটিকে দিয়েছে প্রকৃতির নান্দনিক রূপ। মহাসড়কটি ধরে গাড়িতে চলতে চলতে ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন যাত্রীরা। মুগ্ধ হচ্ছেন পথচারীরাও।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার মিয়াবাজার, মাধাইয়া, চান্দিনা ও দাউদকান্দি এলাকায় এলেই চোখে ধরা পড়বে এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন হওয়ার পর সড়ক বিভাজকে নানা প্রজাতির ফুলের গাছ লাগানো হয়। সৌন্দর্যবর্ধন ও বিভাজকের মাটি আটকে রাখার জন্য ওই গাছ লাগানো হয়।”

সড়ক বিভাজকের গাছগুলোর মধ্যে পলাশ ছাড়াও রয়েছে সোনালু ও কৃষ্ণচূড়া। ঋতুভেদে এখানে এসব এসব ফুল ফোটে। মহাসড়কের মিয়াবাজার, সুয়াগঞ্জ, সদর দক্ষিণ, চান্দিনা ও দাউদকান্দি এলাকায় পলাশ ফুল চোখে পড়ে। যত দূর চোখ যায়, শুধু রঙিন পলাশ আর পলাশ।

কুমিল্লার মিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, “প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন কাজে আমাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় আসা-যাওয়া করতে হয়। এসময় সড়ক বিভাজকে সারি সারি গাছে পলাশ ফুল দেখে মুগ্ধ হই।”

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিবেশবিদ অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন, “পলাশ বসন্তের ফুল। পাতাহীন উঁচু উঁচু ডালে ফুটে থাকে পলাশ। শীতে পাতা ঝরে গেলে এর কলি ফোটে। এরপর ফুল হয়।”

একেকটি পলাশ গাছ ১৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। এর বাকল ধূসর। শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ড আঁকাবাঁকা। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘বুটিয়া মনোস্পার্মা। পলাশ ফুল ফবেসিয়াই পরিবারের সদস্য।

[110876]

এই গাছের নানা ওষুধি গুণও রয়েছে। বসন্তে গাঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অনেকে এই ফুল ব্যবহার করেন। পলাশ গাছের ছাল, পাতা ও বীজ নানা রোগ সারাতে কাজে লাগে। চর্মরোগ, জ্বর, ডায়রিয়া, ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় এর ব্যবহার আছে।