স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন

পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২১, ০৫:৫৮ পিএম

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্কুলছাত্র ফারুক হোসেন (১৯) হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় দেন। ফারুক হোসেন উপজেলার চৌবাড়িয়া ভদ্রপাড়া মহল্লার সাইদুল ইসলামের ছেলে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ভাঙ্গুড়া পৌরসভাধীন চৌবাড়িয়া এলাকার সুধির চৌকিদারের ছেলে প্রভাস চন্দ্র দাস (১৮), শাহজাহান আলীর ছেলে শাহিন হোসেন (২১), ইব্রাহিম আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১), হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), শরৎনগরের শ্রী মন্ডোষের ছেলে প্রিন্স (২০), চরভাঙ্গুড়ার হাফিজুর ওরফে হাফেজের ছেলে ফরিদ আহমেদ (২২), বিলকিস বেগম (৪০), চৌবাড়িয়া গ্রামের ছন্নত আলীর ছেলে দুলাল হোসেন (২০), চরভাঙ্গুড়ার ইসহাক আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২২) এবং চৌবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল করিম (৪৫)।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট রাত ১১টার দিকে বেড়ানোর কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে একটি পুকুরে লাশ ফেলে পালিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক সপ্তাহ পর ভাঙ্গুড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান আলীর পুকুরে মেয়ে-ছেলেরা গোসল করতে নামলে কচুরিপানার মধ্যে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরেরদিন ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ১৮/২০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে নিহতের মা আনোয়ারা খাতুন মামলা করেন। পুলিশ ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত করে সবাইকে গ্রেপ্তার করে। শুনানির পর আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন একেএম শামসুল হুদা ও এসএম ফরিদ উদ্দিন।

ওই দুই আইনজীবী বলেন, “আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখান থেকে নিরপরাধ হিসেবে খালাস পাবেন।”

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, “এই মামলায় হত্যা প্রমাণিত হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এখানে সাজা কমিয়ে আনার কোনো সুযোগ থাকবে না।”