যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে ৮টি গুলি করেন তৌহিদ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম

মুন্সিগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের এক্সপ্রেসওয়েতে শাহিদা (২২) নামের তরুণীকে গুলি করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তাকে হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তলটি লুট করা হয়েছিল ৫ আগস্ট ওয়ারী থানা থেকে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার এসব তথ্য জানান।

[105630]

এর আগে সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে ভোলার ইলিশা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে (২৮)। তিনি রাজধানীর ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা।

অপর দিকে নিহত শাহিদা ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার মৃত মোতালেব হোসেনের মেয়ে। তিনি ঢাকায় ওয়ারী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন ও গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ সুপার জানান, গুলিতে নিহত শাহিদা আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিক তৌহিদ গুলি করে তাকে হত্যা করেন।

গ্রেপ্তার তৌহিদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরও জানান, ৫ আগস্ট ওয়ারী থানা থেকে তৌহিদ নিজেই অস্ত্রটি লুট করেছিলেন। পিস্তলটিতে ৫টি ম্যাগাজিন ছিল। তৌহিদ পরিবারের পছন্দের অপর এক মেয়েকে বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, এজন্য শাহিদাকে এড়িয়ে চলছিলেন। তবে এরমধ্যে শাহিদা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় শুক্রবার রাতে ঘুরতে এসে তৌহিদকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। সকালে দোগাছি এলাকায় পৌঁছে বাগবিতণ্ডার একপর্যায় একে একে ৫টি গুলি করে শাহিদাকে হত্যা করেন তৌহিদ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় এসব কথা স্বীকার করেছেন তন্ময় শেখ তৌহিদ।

[105767]

এর আগে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে জেলার শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকার এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন থেকে তরুণী শাহিদার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন মধ্যরাতে নিহতের মা জরিনা খাতুন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা করলে অভিযানে নামে পুলিশ।

ওই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ফিরোজ কবির সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জ্যাকেট পরিহিত ওই তরুণীর শরীরে আটটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। শরীরের সামনের অংশে ছয়টি ও পেছনের দিকে দুটি গুলি করা হয়েছে। ভোর ৫ থেকে ৬টার দিকে তরুণীকে গুলি করা হতে পারে। তার লাশের পাশে মিলেছে গুলির পাঁচটি খোসা।