চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের গাড়িবহরে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় ট্রাকচালক ও সহকারীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) চতুর্থ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া দুই আসামি হলেন- ট্রাকচালক মুজিবর রহমান (৪০) ও তার ছেলে সহকারী রিফাত মিয়া (১৮)।
চট্টগ্রাম জেলা কোট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইনে করা মামলায় দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লোহাগাড়া থানা-পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবী মো. শাহজাহান জানান, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত শুনানি শেষে সড়ক পরিবহন আইনের ৫৮ ধারায় তাদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাসনাত ও সারজিস সংঘর্ষে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ার চুনতি ফারাঙ্গা এলাকা থেকে ফিরছিলেন। তাদের গাড়িবহরে ১২টি মোটরসাইকেল, ২টি প্রাইভেট কার ও ১টি পাজেরো গাড়ি ছিল। সাইফুলের গ্রামের বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি হাজি রাস্তার মাথা। ওই এলাকায় বহরের গাড়িগুলো গ্রামীণ সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠছিল। প্রথমে ১২টি মোটরসাইকেল ও পাজেরো গাড়ি মহাসড়কে ওঠে। ওই পাজেরো গাড়িতে হাসনাত-সারজিস ছিলেন। পরে একটি প্রাইভেট কার মহাসড়কে উঠতেই চট্টগ্রামমুখী একটি মালবাহী ট্রাক গাড়িটির সামনের অংশে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ির সামনের বাঁ দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িতে হাসনাত-সারজিসের কয়েকজন সফরসঙ্গী ছিলেন। তবে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে যেতে চাইলে বহরে থাকা মোটরসাইকেল আরোহীরা ধাওয়া দিয়ে চালক ও সহকারীকে আটক করেন। পরে তাঁদের লোহাগাড়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় গাড়িতে থাকা আহমেদ নেওয়াজ বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে মামলা করেন।