আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্টে সংঘর্ষ, আহত ১৬

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম

ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এ সংঘর্ষ হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রীনিবাসদী, কল্যান্দী, সালমদী ও আশপাশ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে শ্রীনিবাসদী ফ্রেন্ডস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলা ছিল সোমবার। ফাইনাল খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সালমদী একাদশ বনাম শ্রীনিবাসদী একাদশ। এ উপলক্ষে সকাল থেকে শ্রীনিবাসদী মাঠ এলাকায় সাজসাজ রব বিরাজ করছিল।

বিকেল ৩টার দিকে ফাইনাল খেলা শুরু হলে শ্রীনিবাসদী মাঠ দর্শকের কানায় কানায় ভরে যায়। নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে শ্রীনিবাসদী একাদশ সালমদীর জালে এক গোল প্রবেশ করে। এতে এক গোলে এগিয়ে যায় শ্রীনিবাসদী। এরপর সালমদীর সমর্থকদের কয়েকজন দর্শক মাঠের প্রবেশ করে রেফারির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। কল্যান্দী গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দল সালমদীর সমর্থকদের মাঠের বাইরে যাওয়ার কথা বললে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।

এ ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে সালমদীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে একপর্যায়ে সামলদীর সমর্থকরা মাঠের ভেতরে প্রবেশ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে কল্যান্দী ও সালমদী এলাকায় এ খবর পৌঁছালে তাদের লোকজন দেশিয় অস্ত্রেসজ্জে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সংঘর্ষে মাহমুদপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এস এম সুমন (৩৮), শামিম মিয়া (৪৫), শাহেনশাহ (২৫), আবুল বাশার (৪০), শাহজালাল মিয়া (৪৫), দুলাল মিয়া (২৫), ইয়াসিন মিয়া (১৬), মুকুল ভূইয়া (১৯), শান্ত মিয়া (১৬) মকবুল হোসেন (২৫), শাহীন মিয়া (২২), মাহবুব হোসেনসহ (৩০) অন্তত ১৬ জন আহত হন। এদের মধ্যে সুমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি।