পর্যটনের মৌসুম এক মাস গড়ানোর পর কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২৮ নভেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ যাবে সেন্টমার্টিনে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ জেলা প্রশাসকের কাছে শুধু চলাচলের জন্য আবেদন করেছিলেন। তারা সেই জাহাজকে যাচাই–বাছাই শেষে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে চলাচলের জন্য অনুমতি দিয়েছেন। তবে জাহাজটি কখন সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাবে, সেটি চূড়ান্ত করবে মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ হাজারের বেশী পর্যটক যাতায়ত ও রাত্রিযাপনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
তবে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ কোন স্থান থেকে ছাড়বে তা নির্ধারণ করবে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ’ সংক্রান্ত কমিটি জানান তিনি।
মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী জানান, আগামী বুধবার (২৭ নভেম্বর) তারা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে, কোন জায়গা থেকে জাহাজ ছাড়বে। আপাতত কেয়ারি সিন্দাবাদ আবেদন করেছিল। তারা সেই পর্যটক জাহাজকে অনুমতি দিয়েছেন।
গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত ৬ সদস্যের একটি কমিটি। যেটিতে কক্সবাজার সদর ও টেকনাফের ইউএনও’কে আহবায়ক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, “মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বীপে ২ হাজারের বেশী পর্যটক যাতায়ত করতে পারবে না। এছাড়া নভেম্বর ও ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে রাত্রিযাপনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে পর্যটকরা দ্বীপে রাত্রিযাপন করতে পারবেন।“
অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, “সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও কোন স্থান থেকে ছাড়া হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত এ সংক্রান্ত ৬ সদস্যের কমিটি।”