বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আখতার হোসেনসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ থেকে পাঁচজনকে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এই দুই বিভাগ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে কাউকে না রাখায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে রাজপথ-রেলপথ ব্লকেডসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে রংপুর নগরী থেকে মিছিল নিয়ে আড়াই কিলোমিটার দূরে রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড়ে রংপুর ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
তারা মহাসড়কে শুয়ে অবরোধের সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান দেন। কর্মসূচিতে রংপুরের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেন। অবরোধ করার কারণে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে।
ছাত্রনেতারা অভিযোগ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রংপুরে এসে বলেছিলেন, আবু সাঈদের রংপুরের মানুষ আর কখনো বৈষম্যের শিকার হবে না। তিনি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তার উপদেষ্টা পরিষদে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের একজন প্রতিনিধি নেননি। এ অঞ্চলের একজনকেও উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়নি, এটা খুবই দুঃখজনক। অথচ একটি বিভাগ থেকেই ১৩ জনকে উপদেষ্টা পরিষদে রাখা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সাবেক নেতা আখতার হোসেনকে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া হয়নি। রংপুরের সন্তান বলেই তার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে, এটা রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষকে চরমভাবে বিক্ষুব্ধ করেছে।
তারা অবিলম্বে আখতার হোসেনসহ উত্তরাঞ্চল থেকে পাঁচজনকে উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়ার দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করল রংপুরের মানুষ, থম রক্ত দিলো আবু সাঈদ। তার আত্মদানের দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখলো- যার কারণে আজ দ্বিতীয় স্বাধীনতা, সেই আবু সাঈদের রংপুরকে চরমভাবে বৈষম্যের শিকার বানানো হচ্ছে।