সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী আল আমিন, কামরুল ইসলাম, আকরাম হোসেন, ফাহাদুল ইসলাম ও আসিফ নজরুলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণকারী শ্যামল খানের ভাতিজা সাদমান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার শেখ হাসিনা পালিয়েছে। আবু সাইদ, মুগ্ধসহ অসংখ্য শহিদের রক্তের বিনিময়ে ছাত্র জনতার বিজয় হয়েছে। দেশ ভালোভাবে চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা করা চেষ্টা করলে দেশের মানুষ এর সঠিক জবাব দেবে। ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠের নিষিদ্ধের দাবি করেন বক্তারা।
তারা আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর টাঙ্গাইলের শ্যামল খানসহ যারা সুইজারল্যান্ডে আসিফ নজরুলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন, তাদের শাস্তি দাবি করছি। আপনাদের সাহস থাকলে দেশে আসেন। দেশের ছাত্র জনতা আপনাদের সঠিক জবাব দেবে।”
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় দূতাবাসের প্রটোকল আইন উপদেষ্টার সঙ্গে ছিল। গাড়ি থেকে বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক এসে আইন উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরেন।
উপদেষ্টা জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত কয়েকজন অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। সুইজারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সেখানে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান উপস্থিত ছিলেন। শ্যামল খানের বাসা টাঙ্গাইল পৌর শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া এলাকায়।