শিরোনাম দেখেই অনেকে সেই বাসরঘরের কথাই মনে করবেন। এই বাসরঘর বর-কনের ফুলশয্যা নয়, তবে সাজানো-গোছানো ঝকমকিতে দোকানটি বাসরঘরের তকমা পেয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের পাটিয়া ডাংগি বাজারের ছোট্ট এক দোকান এখন সবার কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। দোকানটির নাম ‘রফিকুলের বাসরঘর’। কারণ দোকানটি সাজানো হয়েছে বাসরঘরের মতো করে।
রফিকুলের পরিবেশিত খাবারও তেমনি অনন্য ও ব্যতিক্রমী। এখানে রয়েছে মুড়ি ও বুট দিয়ে তৈরি হয় চিকেন, বুন্দিয়া ও বুট দিয়ে তৈরি চাইনিজ খাবার এবং মুড়ি, বুট ও চানাচুর দিয়ে তৈরি নুডলস। এই খাবারগুলো নতুন স্বাদ এনে দিয়েছে ভোজনপ্রেমীদের কাছে। দোকানের নামকরণও করেছেন এখানে খেতে আসা ভোজনপ্রেমীরাই।
এ ছাড়া দুপুরের স্পেশাল মেন্যুতে রয়েছে হাঁসের মাংস, মাছ, মুরগি ও সবজি। খাবারের মান এবং দোকানের পরিবেশ দেখে ঠাকুরগাঁওসহ আশপাশের এলাকা থেকে ভোজনপ্রেমীরা ছুটে আসে এখানে।
এখানে খাবারের দামও সাধ্যের মধ্যে। প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার খাবার বিক্রি হয় বলে জানান রফিকুল। এক বাসর ঘর দিয়েই রফিকুলের মাসে আয় ৭০ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, ‘রফিকুলের বাসর ঘর’ শুধুমাত্র একটি খাবারের দোকান নয়, এটি এক অভিজ্ঞতা। এখানে অনেকে আসেন কৌতূহল নিয়ে, আর ফিরে যান তৃপ্তি নিয়ে। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষদের জন্য এটি যেন নতুন স্বাদের এক ঠিকানা।
নামকরণ নিয়ে বাসরঘর হোটেলের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমার এই হোটেলের নাম বাসর ঘর আমি দিইনি। আমি ফুলকে অনেক ভালোবাসি। তাই ফুল দিয়ে আমার এই হোটেলটি সাজিয়েছি। আর সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। এ জন্য এলাকাবাসী আমার হোটেলের নাম দিয়েছে বাসরঘর।।