প্রেমের টানে সাত সাগর আর তেরো নদী পাড়ি দেওয়ার কাহিনি সবারই জানা। এই গল্পগুলো মাঝেমধ্যেই বাস্তব হতে দেখা যায় আমাদের চারপাশে। এই ধরুন পটুয়াখালীর দশমিনার সুবর্ণা-দিলশান দম্পত্তির কথা। পাঁচ বছরের প্রেমের টানে দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য গছানী গ্রামে ছুটে এসেছেন শ্রীলঙ্কার যুবক দিলশান মাদুরাঙ্গা। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে সামাজিক রীতিতে বাংলাদেশী তরুণী সুবর্ণার সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মধ্য গছানী গ্রামের নিজাম উদ্দিন সিকদারের মেয়ে সুবর্ণা পাঁচ বছর আগে জর্ডানে যান কাজের সন্ধানে। সেখানে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ পান তিনি। একই পোশাক কারখানায় কাজের সুবাধে শ্রীলঙ্কার কুরুনাগাল জেলার দুমমলচুরিয়া থানার ন্যাবটাকা উডুবাগদা গ্রামের লাকমালের ছেলে দিলশান মাদুরাঙ্গার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দিলশান মাদুরাঙ্গা ওই পোশাক কারখানায় সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন। পরিচয়ের পর দীর্ঘ পাঁচ বছর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে। এক মাস আগে সুবর্ণা গ্রামের বাড়ি চলে আসে। দেশে ফিরলেও দিলশান মাদুরাঙ্গার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
গ্রামে ফিরে সুবর্ণা বিষয়টি তার পরিবারকে জানান এবং তার পরিবার রাজি হলে তিনি দিলশান মাদুরাঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে বলেন। বৃহস্পতিবার দিলশান মাদুরাঙ্গা পটুয়াখালী পৌঁছান এবং তিনি মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার বর্তমান দিলশান ইসলাম। এদিন পটুয়াখালীর একটি আদালতের মাধ্যমে সুবর্ণা ও দিলশান ইসলামের বিয়ে হয়। একই দিন রাতে সুবর্ণার গ্রামের বাড়িতে সামাজিক রীতি মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
দিলশান ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সম্পর্কের বিষয়টি তার নিজের পরিবার জানতেন। পরিবারের সম্মতি নিয়েই বাংলাদেশে বিয়ে করতে এসেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এসে তার ভালো লাগছে। কিছুদিন এখানে তিনি থাকবেন। বাংলাদেশের প্রসংশা করে দিলশান বলেন বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো।
জানতে চাইলে দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আলীম জানান, কোনো শ্রীলংকার যুবকের দশমিনায় আসার খবর তার জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতিজা হাসান বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। আইনে কোনো বাধা না থাকলে সমস্যা নেই।”