শরীয়তপুরে বিএনপি ও যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পৌরসভা যুবদলের কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে শহরের জেলখানা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর শহরে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ আছে। রোববার যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের মিছিলে অংশগ্রহণ নিয়ে শরীয়তপুর পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক টিটু চোকদারের সঙ্গে পৌর বিএনপির সদস্য সুমন খানের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়। গতকাল রাতে পাকার মাথা সড়কে জেলা কারাগারের সামনে পৌর যুবদলের কার্যালয়ে বাগ্বিতণ্ডয়ায় জড়ান তারা। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত নয়টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় সুমন খানের সমর্থকেরা ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি টিটুর প্রতিষ্ঠিত যুবদলের কার্যালয় ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে টিটু চোকদার বলেন, “আমি রোববার যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বড় মিছিল বের করেছি; যা অনেকের সহ্য হয়নি। এ নিয়ে একটি পক্ষ আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। সুমন ও তার লোকজন নিয়ে আমার অফিসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর করেছে। আমি দেশবাসীর কাছে এর বিচার চাই।”
পৌরসভা বিএনপির সদস্য সুমন খান বলেন, “বিগত দিনে সে (টিটু চোকদার) স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করেছে। আজ আমার সামনে বসে সে আমাদের সাবেক এমপিকে নিয়ে কটূক্তি করেছে এবং আমাকে মারধর করেছে। সে নিজে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্লাব ভাঙচুর করে আমার ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেব।”
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, দলীয় অন্তঃকোন্দল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।