নড়াইলের কালিয়ায় বাবার কাছে মোবাইল চেয়ে না পেয়ে অভিমানে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে লামিয়া আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রী।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে কালিয়ার পুরুলিয়া গ্রামে ভাড়া বাসায় সে আত্মহত্যা করে।
নিহত লামিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামের আলমগীর হোসেনের বড়ো মেয়ে। সে চাঁচুড়ী-পুরুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, আলমগীর হোসেন তিন মেয়েকে নিয়ে গত এক বছর পুরুলিয়া গ্রামের বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করেন। বুধবার সকাল ১০টার দিকে লামিয়া গেম খেলার জন্য তার বাবার ব্যবহৃত ফোনটি চায়। বাবা ফোনটি না দিয়ে ছোটমেয়ে মাহিয়াকে নিয়ে তার চিকিৎসার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে চলে আসে। মোবাইল না পায়ে অভিমানে লামিয়া ঘরের একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। কিছু সময় পরে জানালার ফাঁক দিয়ে আশপাশের লোকজন লামিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার বাবাকে ফোনে বিষয়টি জানায়। লামিয়ার মা বিদেশে এবং মেঝো বোন প্রাইভেট পড়তে পুরুলিয়া স্কুলে থাকায় বাড়িতে কেউ ছিল না। পরে লোকজন লামিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় চাঁচুড়ী বাজারে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে, চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
[101479]
কালিয়া থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু করা হয়েছে।”