রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে ফারুক সরদার নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফারুক দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোহরাব মণ্ডলপাড়ার পল্লী চিকিৎসক শহিদ সরদারের ছেলে। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।
নিহত ফারুকের ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা শুরুর দিন থেকে দৌলতদিয়া রেলস্টেশনের পাশে মেলা বসেছে। ওই মেলায় জুয়ার আসর বসায় রিপন ও তার লোকজন। মেলার বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতিদিন তারা চাঁদাও তুলে আসছিল তারা। তাদের জুয়ার আসর বসানো ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করছিল ফারুক।
শনিবার রাত ৯টার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে রিপনের মুদি দোকানে গিয়ে আবারও রিপনকে চাঁদাবাজি ও জুয়ার আসর বন্ধ করতে বলে ফারুক। এতে রিপন ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফারুককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে হামলা, লুটপাট, মারধর করাসহ মাদক, চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চলে আসছে। পুজা উপলক্ষে মেলার জুয়া ও চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ফারুক ও রিপনের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ দ্বন্দ্বের জেরে দুদিন আগে দুগ্রুপের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।
শনিবার রাতে ফারুক লোকজন নিয়ে রিপনের দোকানে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে রিপনের লোকজন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ফারুককে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শরীফ আল রাজীব বলেন, স্থানীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত রিপনসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।