রেল কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবিতে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম ও সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মো. ফারুকুল ইসলাম মানিকের অপসারণ এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তদন্ত দাবি করে কুড়িগ্রামে ট্রেন থামিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে এতে সংহতি প্রকাশ করে রেল-নৌ যোগাগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি।

কর্মসূচির শুরুতে রেলওয়ে স্টেশনে শিক্ষার্থী ও যাত্রীরা মানববন্ধন করেন। পরে রংপুরগামী চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি আটকে দিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি অকেজো অবস্থায় রয়েছে। ট্রেনটির সিট, লাইট, ফ্যানগুলো অকেজো। বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানিয়েও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। তিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হয়ে ডিসি, ইউএনও এর ফোন রিসিভ করেন না। সাধারণ জনগণ তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। আমরা তার এবং সহকারী পরিবহন কর্মকর্তান অপসারণ চাই। একই সঙ্গে তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তদন্ত দাবি করছি।”

খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মিলন মিয়া বলেন, “বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা বাস মালিক সমিতির কাছ থেকে ১৫ শতাংশ কমিশন নেন। তিনি কুড়িগ্রামের ট্রেনগুলোকে সিডিউল বিপর্যয় রোধে কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ নেননি। বারবার বলার পরও আমাদের উপেক্ষা করেছেন। আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।”

রেল-নৌ যোগাগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার আরিফ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রাজারহাট-তিস্তা রুটের ১০ ফিট প্রস্থের ১টা কার্লভার্ট সেটি জোড়া-তালি দিয়ে চলছে। একাধিকবার সংস্কারের দাবি জানালেও তিনি উদ্যোগ নেননি। ঢাকাগামী ট্রেনটি রাচারহাটে স্টপেজ দিতে বলা হচ্ছে তাও করেননি। অবহেলিত এ জেলায় লোকাল ট্রেনটি দীর্ঘদিন বন্ধ, সেটি চালু করছেন না। আমরা তার দ্রুত অপসারণ চাই, একই সঙ্গে তার অপকর্মের তদন্ত দাবি করছি।”