ঠাকুরগাঁওয়ে যে কারণে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। কোনো দম্পতির বিয়ের বয়স ৬ মাস, কারো ২ বছর; আবার কারো ৫ বছরও পেরিয়েছে—স্বামী-স্ত্রীর এমন সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে নিমিষেই। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে দিন দিন বেড়ে চলছে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা।

জেলায় প্রতিদিন গড়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে ৪টি। যার অন্যতম প্রধান কারণ পরকীয়া প্রেম। এ ছাড়া সংসারে বনিবনা না হওয়া, প্রেম করে বিয়ে, যৌতুকসহ আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে।

জেলা রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট কাজী রয়েছে ৬২ জন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে জেলায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে ১ হাজার ১০০টি। নারীর মাধ্যমে বিচ্ছেদ হয়েছে ৬০০টি, ছেলের মাধ্যমে বিচ্ছেদ হয়েছে ৩০০টি, আর পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়েছে ২০০টি।

সাংস্কৃতিক সংগঠক ও লেখক মাসুদ আহমেদ সুবর্ণ বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ সমাজে একটি ব্যাধির মত। বিবাহ বিচ্ছেদ প্রতিকারের জন্য সচেতনতা জরুরি। বর্তমান সমাজে পরকীয়ার কারণেই বেশিরভাগ সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে। পরিবারের যে প্রয়োজনীয়তা এসব সম্পর্কে সমাজের সকলকে অবগত হতে হবে।

কাজী মো. বাবুল বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক এর জন্য অনেকগুলো কারণ থাকে। আমি গত ১ মাসে যতগুলো তালাক করেছি, বেশির ভাগই মেয়ের পক্ষ থেকে। ছেলের পক্ষ থেকে বা উভয় পক্ষ থেকে তালাক খুবই কম। আর মেয়ের পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন প্রধান কারণ পরকীয়া, বনিবনা না হওয়া, যৌতুকের জন্য নির্যাতন।

জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আবু নাঈম বলেন, “কোর্টে এখন যতগুলো বিচ্ছেদ আসে তার মধ্যে মেয়ের পক্ষ থেকে বেশি আসে। সংসারে স্বামী-স্ত্রী মিল না হওয়ার কারণেই তালাক হচ্ছে। তবে আমি মনে করি সংসার জীবনে সমস্যাগুলো সমাধান করে একে অপরের ভুলত্রুটি মেনে নিয়ে চলাই জীবন।”

জেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দিন বলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক সাধারণত তিন প্রকার। ছেলের পক্ষ থেকে তালাক, মেয়ের পক্ষ থেকে তালাক, উভয় পক্ষ থেকে তালাক। এ বছরে মেয়ের পক্ষ থেকে তালাক বেশি হয়েছে। পারিবারিকভাবে তালাকের সংখ্যা খুবই কম।